ডেস্ক নিউজ : দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে বিদেশের গণমাধ্যমে বর্তমান সরকার সম্পর্কে যে বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালানো হয় সফলতার সাথে তা মোকাবেলা করেন তিনি। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বিরোধ ছাড়াই আন্তর্জাতিক আদালতে নিজেই মামলা লড়ে বাংলাদেশের পক্ষে জয় এনে দেয়ার ব্যাপারে তার ভূমিকা অনন্য।
তিনি হলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি। আজ শুক্রবার তাঁর জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
ডা. দীপু মনির বাবা ছিলেন ভাষাবিদ এমএ ওয়াদুদ পাটোয়ারী। যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (১৯৪৮), গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮) ও পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) (১৯৪৯) এবং কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা (১৯৫৬) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তথা বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা (১৯৫৩)। এছাড়াও ছিলেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯), দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) এর কর্মাধ্যক্ষ।
৯ম জাতীয় সংসদে তিনি চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর-হাইমচর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি তিনবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পেশায় তিনি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী।
ঢাকা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন। লন্ডনের প্রিমিয়ার স্কুলেও পড়াশোনা করেন। এছাড়া তিনি জন হপকিন্স এবং হার্ভাড থেকে নেগোশিয়েশনস অ্যান্ড কমফ্লিক্ট রেজুলিউশনের উপর বিশেষ কোর্স করেন। রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি পেশা বদল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে এমএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।